রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম ফারদিন নূর পরশ (২৩)। তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বনানীঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পিছনে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাসা ডেমরার কোনাপাড়ারশান্তিবাগ ১৩/১২ শুভেচ্ছা টাওয়ার।
এর আগে গত শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ফারদিন পরীক্ষার জন্য বুয়েটের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কী না তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
সিদ্দিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, বিকাল সাড়ে ৪ টায় স্থানীয়দের সংবাদের মাধ্যমে জানতে শীতলক্ষ্যা নদীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ ভাসছে। এরপর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি সদর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অধীন হওয়ায় বিষয়টি নৌ পুলিশকে অবহিত করে। নৌ পুলিশ ফাঁড়ি নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ওই লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। তার নাম ফারদিন নূর পরশ। তার বাবার নাম কাজী নুরুদ্দীন রানা। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নয়ামাটি দেউল পাড়া কুতুবপুর। তার বর্তমান ঠিকানা ডিএমপির ডেমরা কানাপাড়া ১৩/১২ শান্তিবাগ এলাকায়।
তিনি বলেন, সে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কাজী নুরুদ্দিন গত শনিবার নিখোঁজ সংক্রান্তে রামপুরা থানার জিডি করেন।
নিহত ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, তার ছেলে ওইদিন বাসা থেকে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পরে তার মোবাইলে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর খোঁজাখুজি করে না পেয়ে থানায় জিডি করেন।
তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, সেদিন বুয়েটের পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলেও পরীক্ষায় অংশ নেননি ফারদিন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে বন্ধু বুশরার সঙ্গে রিকশাযোগে রামপুরা ট্রাফিক অফিসের সামনে দেখা যায়।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লাশ ফুলে যাওয়ায় আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছেনা। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ফারদিন নিখোঁজের পর ডিএমপির মতিঝিল, ওয়ারীসহ কয়েকটি বিভাগের গোয়েন্দারা কাজ করেছে। এটি হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকলে শিগগিরই রহস্য উদঘাটন করা হবে।