যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরেছে শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত একটি অবৈধ ও ভুয়া কমিটি।
জানা যায়, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার তাঁর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি কমিটি প্রকাশ করেন। সেখানে এস এম মেহেদী হাসান অপুকে সভাপতি ও হাসিবুল হাসান শান্তকে সাধারন সম্পাদক করে ৮ সদস্যের একটি কমিটি প্রকাশ করা হয়। তার পরপরই কমিটিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। কিন্তু কমিটি ছড়িয়ে পরার কিছুক্ষণ পর জানা যায় উক্ত কমিটিটি অবৈধ, ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এই কমিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে তার ঘন্টাখানেক পর যশোর জেলা ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে উক্ত কমিটিটি ভুয়া দাবি করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এছাড়া উক্ত ভুয়া কমিটির পদ প্রাপ্ত কোন নেতা যদি এই পদ ব্যবহার করে কোনরকম সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলানিউজ ইনফোকে শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ জাবের রেজওয়ান রুমেল বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। কিন্তু শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য একটি পক্ষ নানান ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমরা শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ এমন ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই ভুয়া কমিটির মূলহোতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যশোর জেলা ছাত্রলীগের একজন নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নাই। আর সাবেক কমিটির বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ নেতা এখন বিবাহিত ও অন্যান্য পেশায় যুক্ত হয়ে গেছেন। যার জন্য শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রায় অচল। এমন অবস্থায় ফেসবুকে ভুয়া কমিটি ছড়িয়ে দিয়ে ছাত্রলীগের মতো সুসংগঠিত একটি সংগঠনকে বিতর্কিত করা ও সবার কাছে হাসির পাত্র বানানোর মতো ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, আশা রাখা যায় সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে অতি দ্রুত যোগ্য ও ত্যাগীদের দিয়ে শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াসের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি৷