Chhatra League is going to protest in Comilla University

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যাচ্ছে ছাত্রলীগ

ক্যাম্পাস রাজনীতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার, অছাত্র ও বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, মারধরের ঘটনায় আহত সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনে যাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। 

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা প্রদান করে নেতারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। 

এসময় ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বহিরাগত এ যুবদল নেতাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত এবং অছাত্রদের অস্ত্রসহ প্রবেশের পরও প্রক্টরের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়মিত ঘটতে থাকা এসকল ঘটনায় দোষীদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

এসময় তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতীকী মিছিল, ১২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে এবং অন্য সকল দাবী পূরণের নিমিত্তে মানববন্ধন এবং উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ১৩ মার্চ সোমবার বিক্ষোভ মিছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উল্লেখিত দাবী আদায় পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচী থাকবে।

শিক্ষার্থীদের দাবীর বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিব। কোন ছাত্র যদি অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

এদিকে ২৪ ঘণ্টা পরও মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, আমি গতকাল রাতের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছিলাম, চেষ্টা অব্যাহত আছে। অতি শীঘ্রই হয়ে যাবে।