কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ - kazi rawnaqul islam srabon

ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণের ভাইরাল ভিডিওটি সম্পূর্ণ এডিট করা ভুয়া

রাজনীতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের একটি ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে ব্যাপক প্রচার করছেন।

ভিডিওটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এখানে শ্রাবণের মতো দেখতে চেহারার একজন কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলছেন৷ কিন্তু এখানে দুজনের কারো চেহারায় স্বাভাবিক ও স্পষ্ট না। অন্যদিকে অপরজনের কোন চেহারায় দেখা যাচ্ছে না। ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণের দাবি, ভিডিওটি সুপার এডিট ও সম্পূর্ণ ভুয়া৷

শ্রাবণের দাবির ভিত্তিতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে ভিডিওটা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির আসলে কোন সত্যতা নেই। ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও এডিট করা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিডিও এডিটর এক্সপার্টদের কাছে এমন একটি ভিডিও এডিট করা কোন ব্যাপারই না। বিভিন্ন সফটওয়্যার ও অ্যাপস ব্যাবহার করে এগুলো হরহামেশাই এডিট করা যায়৷

এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইতোমধ্যে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পরেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা এর পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্টাটাস দিয়েছেন। স্টাটাসটি আপনাদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

“সুপার টেকনোলজি দিয়ে ছাত্রদল কে দমানো যাবে না, ইনশাআল্লাহ।

আমি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

দীর্ঘ ১৮ বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শ কে হৃদয়ে ধারণ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি গত ১৭ই এপ্রিল ২০২১ সালে।  ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে আমি যখন সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলাম, তখন সকল মিডিয়ার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশী ভাষাভাষী মানুষেরা জানতে পারেন একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে।

ঐ সময়ে ছাত্র রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বিষয় ছিল এটি যে, আওয়ামী পরিবারের সন্তান ছাত্রলীগ না করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করে এবং কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতি দেশের সকল নাগরিক, সকল পরিবারের সন্তানেরা করতে পারেন। একজন বাংলাদেশী নাগরিক জাতীয়তাবাদী আদর্শ কে ভালোবেসে জাতীয়তাবাদী আদর্শের ছাত্র সংগঠন করে, এই বিষয়টি দেশের সকল নাগরিকের সাধুবাদ জানানো উচিত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শ্রাবণের আদর্শের চর্চা এবং জাতীয়তাবাদী আদর্শের চর্চায় তার অবদান কে স্বীকৃতি দিয়ে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রমাণ করেছে, একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শ দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান রাজনৈতিক সুযোগের নিশ্চয়তা দিতে পারে।

তখন ঐ কাউন্সিলে পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয় কে বিরোধী পক্ষ যোগ্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় কাজে লাগিয়ে কাউন্সিলরদের কে বিভ্রান্ত করে মাত্র আট ভোটে পরাজিত হতে বাধ্য করেন এবং আমি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম।

পরবর্তীতে আমি আমার পরিশ্রম, সততা, সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং আমার জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতি আনুগত্যের কারণে ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হই।

তারপর থেকেই বিরোধী ছাত্রসংগঠনের টার্গেটে পরিণত হই।

নিজেদের সংগঠনের সম্মান ধরে না রাখতে পেরে এখন বিরোধী ছাত্র সংগঠন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শত ষড়যন্ত্র করেও যখন আমাকে রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা করতে পারেনি ইনশাআল্লাহ কোন ষড়যন্ত্রই আমাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের চর্চা হতে সরাতে পারবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার সততা, সুনাম, মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেই সামনে এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, দেশের সকল নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে, ইনশাআল্লাহ।”