শপথের আগেই হত্যা মামলার আসামি হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার। নির্বাচনী সহিংসতায় আহত দবির আলীর মৃত্যুর ঘটনার মামলায় বিপুলসহ তার অনুসারীদের আসামি করা হয়েছে।
১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়াত আলীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে ১১ মার্চ রাতে জহুরুলনগর গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রতীকের কয়েকজন সমর্থক মারাত্মক জখম হয়।
এ সময় দবির আলী ও তার দুই ভাই আনিসুজ্জামান ও খবির এবং মিয়াজানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নৌকা প্রতীকের সমর্থক দবির আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে রাখা হয়।
দবির আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খোকন বাদী হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলসহ ২৫ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
গত ১৬ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে চশমা প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় লাভ করে। নির্বাচনের পর হত্যা চেষ্টা মামলার ২৫ জন আসামির মধ্যে অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে।
এরই মাঝে গত ২৪ মার্চ দুপুরে রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দবির আলীর মৃত্যু হয়।
রাত ১০টার দিকে দবির আলীর লাশ নিয়ে আলমডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দবির আলীর ছেলের দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলাটি পরিণত হয় হত্যা মামলায়। দবির আলী হত্যা মামলার আসামিরা এলাকা থেকে পালিয়ে আত্নগোপনে রয়েছে।
দবির আলীর ছেলে খোকন জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল ঘটনার দিন নিজে দাঁড়িয়ে হুকুম দেয় মারামারির জন্য। বিপুলের হুকুমে আমার বাবা ও চাচাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তিনি তার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী সহিংসতার পর দবির আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খোকন বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।
গত ২৪ মার্চ দবির আলীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। দবির আলী মারা যাওয়ায় হত্যা মামলার ধারা যুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।