akij jute mill

চাকরি হারালেন আকিজ জুট মিলের ৬৩০০ শ্রমিক

বাংলাদেশ অর্থনীতি

যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় অবস্থিত বেসরকারি বৃহৎ আকিজ জুট মিলের ৬ হাজার ৩০০ কর্মীকে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। বাইরের দেশের অর্ডার না থাকা এবং দেশের বাজারে পাটের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে কারখানাটি পুরোপুরি সচল রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মিলের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম।

বৃহৎ এ পাটকলে তিন শিফটে যশোর, খুলনা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় সাত হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। প্রতিদিন তাদের ২৩টি বাসের মাধ্যমে কারখানায় আনা-নেওয়া করা হয়। মঙ্গলবার থেকে আকস্মিকভাবে বাস সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ৭০০ শ্রমিক বাদে সবাইকে কাজে আসতে নিষেধ করেছে।

শেখ আব্দুল হাকিম জানান, তাদের পণ্য মূলত তুরস্কে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উৎপাদিত পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। আর পাঠাতে গেলে খরচও বেশি হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন অর্ডারও কমে গেছে। এছাড়া পাটের দাম অনেক বেশি। সবমিলিয়ে তিন শিফটে উৎপাদন সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। লোকসান এড়াতে স্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে এখন দুটি শিফটে কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানার কার্যক্রমও পূর্ণ উদ্যমে শুরু করা হবে। তখন বদলি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

পাট কলের সিবিএ সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, মিলে প্রায় ছয় হাজার ৩০০ বদলি শ্রমিক রয়েছে। তাদেরকে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। বাকি ৭০০ স্থায়ী কর্মী দিয়ে মিলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এদিকে চাকরি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন উপজেলার পায়রা গ্রামের কুলসুম বেগম। তিনি বলেন, আকিজ জুট মিলে কাজ করে আমার সংসার চলে। কাল থেকে কীভাবে সংসার চালাবো ভেবে পারছিনা।