Model Tinni - মডেল তিন্নি

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় পেছাল

বাংলাদেশ

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় পেছাল। তিন্নির বাবা ও চাচার সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় এ তারিখ আবার পেছানো হলো। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন মডেল তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম নিজ থেকে আদালতে হাজির হয়ে এ মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলেন। তখন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন পূর্বক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, তিন্নির বাবা এ মামলায় আংশিক জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তার জবানবন্দি এবং জেরা হয় নাই।

তা ছাড়া তিন্নিকে না পাওয়ায় তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তাই তার জবানবন্দিও নেওয়া প্রয়োজন।

শুনানি শেষে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ প্রদান করেন। এ মামলার একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি পলাতক রয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।

১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় লাশ। কিন্তু পানিতে নয়, লাশটি পড়ে পিলারের উচুঁ অংশে।

পরদিন সকালে লাশ ঘিরে জমে উৎসুক জনতার ভিড়। এরপর কেরানীগঞ্জ থানার থানার এএসআই মো. শফি উদ্দিন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করে মামলা করেন।

মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ ছাড়াও এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই একই আদালত আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।