পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আসাদ উল্লাহ ভূমি অফিসকে ঘুষ বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আতিক নামে একজন গ্রেফতার হয়েছেন।
কিন্তু পরে ফাঁস হওয়া একটি অডিওর মাধ্যমে জানা যায়, আতিকের কাছে সার্ভেয়ার নিজেই ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। ফাঁসকৃত অডিওটি এখন মঠবাড়িয়ায় টক অব দ্য টাউন। ভাইরাল ও ফাঁস হওয়া ঘুষ বাণিজ্যের অডিও এ প্রতিনিধির হাতে এসে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা বাজারের মক্কা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আতিকুল ইসলাম ঘর ভাড়া নিয়ে ৩ বছর ধরে ওষুধের ব্যবসা করে আসছেন।
ডিসিআর সূত্রে ওই ঘরের মালিক স্থানীয় মিজানুর রহমান বাবু নামে এক ব্যক্তি। মিজানুর রহমান বাবু ঢাকায় থাকায় সুযোগে ওই ভিটির ডিসিআর নিতে একটি পক্ষ সক্রিয় হয়।
তারা সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মিজানুর রহমান বাবুর ডিসিআর সংক্রান্ত নথি গায়েব করে। পরবর্তীতে বাবু রাজস্ব দিতে গিয়ে নথি না থাকায় নবায়ন করতে পারেননি।
এদিকে সুযোগবাদী চক্রটি স্থানীয় তহশিলদার ও মঠবাড়িয়া ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আসাদ উল্লাহর যোগসাজশে আতিকের দখলে থাকা ভিটিটির ডিসিআর কেটে নেয়।
ডিসিআর কাটার পর আতিককে ওষুধের দোকান গুছিয়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর এ চাপ প্রয়োগে সার্ভেয়ার, অবৈধ ডিসিআরধারী এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর নাম চলে আসে। একপর্যায়ে গায়ের জোরে সম্প্রতি দোকানটি তালা মেরে আটকে দেয় তারা।
এদিকে ওই ভিটির তালা খুলতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওষুধ ব্যবসায়ী আতিক। বিষয়টি সমাধানে সার্ভেয়ারের দ্বারস্থ হলে তিনি ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
পরে গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সার্ভেয়ারের কথামতো ঘুষ নিয়ে আসেন আতিক। কিন্তু ঘুষ লেনদেনের সময় পরিবেশ প্রতিকূল হওয়ায় সার্ভেয়ার নিজে সেফ থাকার জন্য কৌশলে আতিককে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন। আতিক উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের মালেক মাওলানার ছেলে।
এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার আসাদ উল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই অডিওটি এডিটিং করা। মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, সার্ভেয়ার আসাদ উল্লাহকে সোমবার দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।