bnp naya paltan protest

নয়াপল্টনে বিএনপির মিছিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও লাঠিচার্জ

রাজনীতি

নয়াপল্টনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে এবং ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, রুহুল কবির রিজভী। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, প্রতিবাদ মিছিল বাঞ্চাল করতে পুলিশি হামলা করে ও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে। 

আটক নেতাকর্মী হলেন-মোঃ শাখাওয়াত হোসেন নান্নু -সাবেক সদস্য, কৃষকদল কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি; এ আর বি মামুন-সহ-সভাপতি, তাঁতী দল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা; আবদুর রেজ্জাক-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-তাঁতীদল-নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা;

মোঃ ফরিদ – যুবদল নেতা – কামরাঙ্গিরচর থানা; চায়না সুমন – যুবদল নেতা – নিউমার্কেট থানা; মোঃ জসিম – যুবদল নেতা- যাত্রাবাড়ী থানা; রেজাউল ইসলাম প্রিন্স – যুবদল নেতা, রমনা থানা; মোঃ সুমন- বিএনপি নেতা,

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; মোঃ রাসেল – লালবাগ থানা বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; মোঃ রাকিব, বদরুল, জুয়েল, লালবাগ থানা বিএনপি, মোঃ শুক্কুর, শাহবাগ থানা বিএনপি নেতা; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ;

মোঃ মুতাছিন বিল্লাহ-ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মোঃ জেহাদুল রঞ্জু- ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মোঃ আবু সুফিয়ান – ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; আবু হান্নান তালুকদার- ছাত্রদল নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;

জাসাস নেতা হাজী আবদুল কাইয়ুম,  মোঃ জসিম উদ্দিন, ৬২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা; মোঃ তুহিন – ডেমরা থানা বিএনপি নেতা; রাকিব, রাসেল, সালাহউদ্দিন, মহিউদ্দিন, ইমরান গাজি; যুবদল নেতা ইউনুস; ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুস্তুম আলী; বাবুল আহমেদ মুন্না; শাহাদাৎ হোসেন; নাসির উদ্দিন বিপ্লব; বোরহান উদ্দিনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

এছাড়া পুলিশের গুলি ও হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন-গোলাম মাওলা শাহীন – আহবায়ক, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ; স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন।

মিজান – যুবদল নেতা, শাহবাগ থানা; টুটুল – যুগ্ম আহবায়ক, কদমতলী থানা; হানু মিয়া – যুবদল নেতা, কোতয়ালী থানা; মোস্তফা – যুবদল নেতা, রমনা থানা; শফিকুল আলম রুবেল – যুবদল সদস্য, শাহবাগ থানা; পল্টন থানা বিএনপি নেতা মো: আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ,

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা জিয়াউল আনোয়ার, জাহিদ, স্বপন, সুফিয়ান, চন্দন, শামসুদ্দিন ভুইয়া, আব্দুর রশিদ, আমির হোসেন, সাত্তার, শামিম, যুবদল নেতা মইন, মোহন মোল্লা, জাবেদ ইকবাল – সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা মহানগর পূর্ব;

ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরা আক্তার রিক্তা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক সেলিনা সুলতানা নিশিতা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শওকত আরা উর্মি; সোনিয়ারা – মহিলা দল নেত্রী – হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে;

নাসরিন – মহিলা দল নেত্রী; ওমর ফারুক কাওসার-সহ সভাপতি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ; মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক ভূঁইয়া;

সুজন মোল্লা – যুগ্ম সম্পাদক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; মিল্লাত উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; আজিমুল হাসান চৌধুরী – যুগ্ম সম্পাদক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; মোঃ মহসিন – ছাত্রদল নেতা- সিদ্ধেশরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী। গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

বিএনপি এই নেতা বলেন, পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক হামলা এবং নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে আটককৃতদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।