বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেনসিয়াল উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। জানা গেছে, যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারই মূলত এই আলোচনার উদ্দেশ্য।
এর আগে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার সাথে আলোচনায় নিজেদের স্বার্থের এক চুলও ছাড় দেয়া হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য বলছে, রাশিয়ার আক্রমণের কারণে এখন পর্যন্ত ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রুশ হামলার পঞ্চম দিনে হতাহতের সংখ্যাও অনেক। যদিও রাজধানী শহর কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ এখন ইউক্রেনের হাতে। অবশ্য এদিন কারফিউ তুলে দেয়া হয়েছে কিয়েভ থেকে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় জানিয়েছে, কিয়েভের প্রতিনিধি দলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেক্সি রেজনিকভ, ক্ষমতাসীন সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল গ্রুপের প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাই তোচিটস্কিসহ অন্যান্যরা আছেন।
জেলেনস্কির কার্যালয়ের বিবৃতি অনুসারে, মস্কোর সঙ্গে সংকট বিষয়ে আলোচনায় ইউক্রেনের মূল লক্ষ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দেশটি থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার।
ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার আগে মস্কো নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করেনি। কারণ আলোচনা নীরবে চলা উচিত।
এ দিকে ইউক্রেন বৈঠকে কোনো ছাড় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আশা করেন না যে আলোচনা থেকে কোন ফলাফল আসবে। এক সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি সব সময়ের মতো অকপটে বলবো- এই বৈঠক থেকে যে ফলাফল আসবে সত্যিই তা বিশ্বাস করি না। তবে তাদের চেষ্টা করতে দিন।’
‘ইউক্রেনের কোনো নাগরিকের যেন সন্দেহ না থাকে যে, যুদ্ধ থামাতে আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছোট কোনো সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করিনি’, যোগ করেন তিনি।