যশোরে ছুরিকাহত আলোচিত আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে বুনো আসাদের (৫২) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি বেজপাড়া বনানী রোডের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের ভাই মো. সাহিদুর রহমান জানান, গত ৮ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে তার ভাই আসাদ নাজির শংকরপুর সাদেক দারোগার মোড়ের নুরুন্নাহার হোমিও হলের সামনে যান। এ সময় সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় এবং তাকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আসাদের মৃত্যু হয়। নিহত আসাদের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই শরীফ আল মামুন জানান, আহত আসাদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন।
তিনি আরো জানান, আসাদকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তার ভাই মো. সাহিদুর রহমান ৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন। এরা হলেন, শংকরপুর মাঠপাড়ার হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের চঞ্চল, আকাশ ও চাঁচড়া রায়পাড়ার বিপ্লব। এরমধ্যে চঞ্চলকে তারা আটক করেন। অপর ৩ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ (বুনো আসাদ) নিজ এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেসহ একাধিক মামলা রয়েছে।