Biman state minister Mahbub Ali

লিজে আনা বিমান ফেরত না দিয়ে কিনলে সাশ্রয়ী হবে : বিমান প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ অর্থনীতি

আয়ারল্যান্ড থেকে ইজারায় আনা ২টি উড়োজাহাজ ফেরত না দিয়ে কিনে নিলে বেশি সাশ্রয় হবে, তাই কিনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন ও অনলাইন টিকিটিং পুনঃচালুকরণ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এ সময় বিমানের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন ও অনলাইন টিকিটিং পুনঃচালুকরণ নিয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে টিকিটিং সেবা। গত আগস্ট মাস থেকে বিমানের ওয়েবসাইট থাকলেও সিস্টেম আপগ্রেডের কারণে সেখান থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

নতুন করে করা ওয়েবসাইটে যাত্রীদের সুবিধার্থে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (PSS) ‘সেবর’ (SABRE) এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিটিং, বুকিং, চেক-ইন, ওয়েব সার্ভিস ইত্যাদি সেবা দিচ্ছে বিমান।

আয়ারল্যান্ড থেকে ২০০৯ সালে ইজারায় নিয়ে চালানো দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান। ১২ বছর চালানোর পর লিজের এতো পুরনো বিমান কেনার জন্য কেন বাধ্য হচ্ছে বিমান? 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বিমানের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত হাই-পাওয়ার (উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন) পর্ষদ। পরিচালনা পর্ষদ এ দুটি বিমান কেনার বিষয়ে বার বার বসেছে। তারা দেখেছে যে এ বিমানটি ফেরত দিতে হলে যত টাকা তাদের ফেরত দিতে হবে, তার চেয়ে বরং ক্রয় করা সাশ্রয়ী হবে। পর্ষদ সার্ভে করে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমাদের উপস্থিতিতে বিমানের ক্ষতি হবে এমন কোনো কাজ হবে না।

এ বিষয়ে বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বোর্ড সবকিছু বুঝে শুনে, যাচাই-বাছাই করেই ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিমানের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, এ বিষয় নিয়ে বোর্ড বার বার বসেছে। আমরা এনালাইসিস করেছি। বিমান দুটির টেকনিক্যাল স্ট্রেন্থ যাচাই করেছি। আমরা মনে করেছি যে এ দুটি বিমান রেখে দিলে আমাদের বেশি বেনিফিট (লাভ) হবে। এ জন্য আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বিমান পর্ষদের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলছে, দুটি বিমান আগের অবস্থায় ফেরত দিতে ৬ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। অথচ কিনতে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগে। এছাড়াও ফেরত দিয়ে নতুন করে লিজ নিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। পুরাতনটা কিনে নিলে বিরতিহীনভাবে ফ্লাইটও পরিচালনা করা যাবে। সব বিবেচনায় প্লেন রাখা হয়েছে।