ক্লাস নাইনে থাকতে একটা ছেলেকে ভীষণ ভালো লাগতো। আমি নাইনে আকিজ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। ছেলেটা আমার এক বছর সিনিয়র ছিল। মানে ক্লাস টেনে পড়ত সে তখন। ভালো লাগার সূচনা হয়েছিল একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে।
একটা প্রতিযোগিতার জন্য আমি গানে নাম দিয়েছিলাম। প্রাকটিস এর জন্য ক্লাসে গান গাইছিলাম সবার সামনে। দেখি সে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। তারপর কি জানি কি হলো! বুঝলাম না।
যখনই তাকে দেখতাম কি যে ভীষণ ভালো লাগতো! “বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যাথা” এমন অনুভূতি হতো। আমি আমার বান্ধবীদের বলে দিয়েছিলাম। ওরা মজাও নিত অবশ্য। কিন্তু তাতে আমারও ভালো লাগতো। ওদের কেউ এই পোস্ট পড়লে বুঝতে পারবে।
কিন্তু আমি কখনো কিছু বলতে পারি নি। অবশ্য সে জেনেছিল এক ছেলের মাধ্যমে, সেই ছেলে আমাকে আবার পছন্দ করত। কলকাঠি নাড়ল। আহারে!
দেখতে দেখতে তার এসএসসি শেষ হলো। সে আর কলেজে আকিজে ভর্তি হলো না। ঢাকার এক কলেজে ভর্তি হলো। আমি বাসে যাওয়ার সময় রোজ তাদের বাড়ির পথের দিকে তাকাতাম।
একদিন পরীক্ষা দিচ্ছি, হঠাৎ বান্ধবী বললো সুম দেখ বাইরে কে! দেখি বারান্দায় দাড়ানো। সম্ভবত সার্টিফিকেট নিতে এসেছিল। আমি পরীক্ষা বাদ রেখে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। হাহা। আমার অবশ্য এখনো এই অনুভূতি বেশ আনন্দ দেয়।
সে আমার লিস্টে আছে এখন। হয়তো দেখতেও পারে পোস্ট টা। বুঝতে পারবে না। এটা সত্যি আমি তাকে খুব পছন্দ করতাম। এখন আর সেই আগের মতো অনুভব নিয়ে আর কাউকেই ভালো লাগবে না কখনো।।
এতো গল্প করার কারণ হচ্ছে, মানুষ বড় হলে পুরো পৃথিবীটা মাঝে মাঝে নরক সমান লাগে। প্রেমে পড়ার অনুভূতি এতো অসম্ভব সুন্দর। আমি ঐ ছেলের জন্য কখনো কষ্ট পাইনি। কারণ তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগই ছিল না।
যদি আরেকবার এমন করে ভালো লাগতো কাউকে! এমন মুগ্ধ হতাম কারো প্রতি! আফসোস, এই অনুভূতি বয়স বাড়লে নষ্ট হয়ে যায়। পৃথিবীর সকল প্রেম ভালো থাকুক।
সুমাইয়া আক্তার জলি
শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স বিভাগ, ১০ম ব্যাচ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
ঘোষণাঃ আপনার লেখা গল্প পত্রিকায় প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন বাংলানিউজ ইনফো‘র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেঃ
https://www.facebook.com/banglanewsinfo.official