Hasan Al Mamun - হাসান আল মামুন

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: কারাগারে ছাত্র অধিকারের হাসান আল মামুন

ক্যাম্পাস অপরাধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাসান আল মামুন। পরে জামিনের আবেদন করেন তিনি। তবে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আকবর এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ১৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাবির এক নারী শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং এতে সহযোগিতার মামলা করেন।

অভিযোগে বলা হয়, হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। পরে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি তাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন।

পরে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুরে বাদীকে হাসান আল মামুন তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী। ওই ঘটনার ৯ দিন পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন আরেক আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ ।

এরপর আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করেন। তার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে মিউনিসিপাল হকার্স মার্কেট এলাকায় সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান সোহাগ। সেখানে তাকে নাশতা করান তিনি।

এরপর আসামি সোহাগ নানা প্রলোভন দেখিয়ে লঞ্চযোগে বাদীকে চাঁদপুর নিয়ে যান। সেখানে হাসান আল মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর সন্দেহ হয়। তখন তাকে দ্রুত ঢাকা ফেরার জন্য বলেন তিনি।

ওই দিন বিকেলে ফিরতি লঞ্চে বাদীকে নিয়ে কেবিনে অবস্থান করেন সোহাগ। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজকে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি