ডায়াবেটিস কমানোর উপায় - treatment of diabetes

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য

একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ কষ্টকর। ঘরোয়া উপায়ে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনসহ নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও অনেকের পক্ষেই তা নিয়মিত অনুসরণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। নিয়মিত জীবনযাপনের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে ভরসা রাখতে পারেন জাদুকরী এক পানীয়ের ওপর।

প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণসহ ওজন কমাতেও কাজ তরে জিরা-পানি। জিরা সবার রান্নাঘরেই থাকে। এই উপাদানটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং শরীরেরও অনেক উপকারে আসে। সারারাত জিরা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি খালি পেটে পান করলে নানা উপকার মেলে শরীরে। জানেন কি, জিরা-পানি শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে জিরা-পানি। বৈজ্ঞানিকভাবেও জিরার গুণাগুণ প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস জিরা-পানি পান করলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে খালি পেটে এটি পান করতে পারেন। এছাড়া জিরা ভেজে গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।

জিরা-পানি পান করলে গ্লাইকোসাইটস হিমোগ্লোবিনের স্তরও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিবার খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে জিরা-পানি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা যারা নিতে চান তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা তাই এই জিরাপানি সাজেস্ট করেছেন।

শুধু ডায়াবেটিস নয়, হার্ট , পেট, চুল বা ত্বকের জন্যও জিরা-পানি উপকারী। জেনে নিন জিরা-পানি খেলে আরও যেসব উপকার পাবেন-

  • * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
  • * অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাবে ব্যথা কমবে।
  • * হজম এবং বিপাক বাড়বে।
  • * অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত হবে।
  • * ত্বকের বয়স কমবে এবং ত্বক ভালো থাকবে।
  • * ব্রণ এবং ত্বকের ফ্রি র‌্যাডিকেল দূর হবে।
  • * চুল ভালো হবে।
  • * হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • * রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমবে।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানাতে গিয়ে ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. আশুতোষ গৌতমের মতে, জিরা-পানি শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এই পানীয় নিয়মিত পান করলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে আসে।