ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি আখতারুজ্জামান DU VC Akhteruzzaman

গুগল ম্যাপে ঢাবি ভিসি’র বাসভবনের নাম “বৈজ্ঞানিক ভবন”

ক্যাম্পাস শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সরকারি বাসভবনের নাম সম্প্রতি গুগল ম্যাপে “বৈজ্ঞানিক ভবন” নামে দেখা যাচ্ছে। গুগল ম্যাপে ঢুকে কেউ ইংরেজিতে “Boigganik Bhavan” লিখলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে ভিসির বাসভবনকেই দেখাচ্ছে গুগল।

ভিসির বাসভবনের ভিতরের আরেকটি স্থানকে গুগল ম্যাপে দেখাচ্ছে “বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্মিত“। তবে এই স্থানটি আসলে বাসভবনের মধ্যে ঠিক কোন স্থানটার জন্য দেখাচ্ছে সেটা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র সরকারি বাসভবনটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিসি চত্ত্বরে অবস্থিত। ভবনটির পাশে রোকেয়া হল এবং ভবনের সামনে একপাশে টিএসসি-নীলক্ষেত রোড, অপর পাশে ফুলার রোড – যেখানে শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা অবস্থিত। এই ভবনটিতেই নিজের পরিবারকে সাথে নিয়ে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।

DU VC Akhteruzzaman residence google map
ঢাবি ভিসি’র বাসভবনের গুগল ম্যাপের চিত্র

মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম উপাচার্য। ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এর চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের পূর্বে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ বিষয়ের এবং ২০১৫ সালে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলা ‍অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

পেশাগত জীবনে ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ২০০০ সালের ২ জানুয়ারি সহযোগী অধ্যাপক এবং জানুয়ারি ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।

আখতারুজ্জামান ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ মেয়াদে তিন দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ ও ২০১১ এ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।