হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছয় দিনের মাথায় আবারো হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জ্বর আর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাকে আবারও হাসপাতালে নেয়া হয়। তার রক্তচাপও ওঠানামা করছে। এই হাসপাতালে ২৭ দিন চিকিৎসা শেষে, মাত্র ছয়দিন আগেই বাসায় ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২৭ দিন পর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গেলো ৭ নভেম্বর অনেকটা সুস্থ হয়েই গুলশানের ভাড়া বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
কিন্তু শুক্রবার রাতেই তার জ্বর আসে। কমে যায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। সেই সাথে তার রক্তচাপও ওঠা-নামা করে। এই অবস্থায় তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড আবারও খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ারে তাকে ভর্তি করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এর আগে পাঁচটা ১০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন আগে থেকেই ভর্তির প্রস্তুতি শেষ করে রেখেছিলেন। সেখানে খালেদা জিয়ার নতুন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে। সেই সাথে চিকিৎসার পদ্ধতিও ঠিক করবে মেডিক্যাল বোর্ড।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, পুরোপুরি সুস্থতার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেয়া দরকার।
প্রায় ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, পাকস্থলী, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক ও আথ্রাইটিসসহ বেশ কটি জটিল রোগে ভুগছেন।
যার কোনটাই উন্নতির দিকে নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে দুই দফায় তাকে বিদেশে চিকিৎসার আবেদন জানানো হলেও তা নাকচ করে দেয় সরকার।