পিতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম এবং মাকে বেঁধে রেখে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে তিন যুবক।
রোববার দিবাগত মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খণ্ডক্ষেত্র গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী কিশোরী এবং তার আহত পিতাকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায় এলাকাবাসী। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। এ সময় তার সাথে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল রায় এবং রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার মধ্যরাতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সময় বিদ্যুৎ ছিল না। এরই সুযোগে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তিন জন যুবক। ঘরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে জখম করার পাশাপাশি মারধর করে পিতাকে অজ্ঞান করে ফেলে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে মাকে খাটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। তারপর আলমিরা ভেঙে ২ লাখ টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। পাশের রুমে ছিল নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে।
লুটপাট শেষে মেয়ের রুমের দরজা ভেঙে কন্যাকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এক যুবক। বাকি দুই ছিল সহযোগী। এ সময় তাকে ধরে রাখা একজনের হাতে কামড় দিয়ে তাদের হাত থেকে কোনভাবে ছুটে দৌঁড়ে পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই ওই মেয়ে। পরে ওই বাড়ির লোকজন চেয়ারম্যানকে মোবাইলে ঘটনাটি জানালে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে জানান এবং পিতা ও কন্যাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ প্রসঙ্গে রাজারহাট থানার অফিসার ইন-চার্জ রাজু সরকার জানান, সোমবার রাতে কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ধর্ষণ ও দস্যুতার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের শনাক্ত এবং তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।