best-place-of-india-for-tour-ভারত-ভ্রমণ-ছবি-

কম খরচে ভারত ভ্রমণ টিপস

সাক্ষাৎকার ভ্রমণ

যারা ভারত ভ্রমণ করতে চান লেখাটা তাদের জন্য খুব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা নিউজ ইনফোর সাথে ভারত ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন একজন শিক্ষার্থী। বিশেষ করে যারা প্রথমবার ভারত ভ্রমণ করতে চান লেখাটিতে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারহিন হায়দার পরমা

ভারত ভ্রমণ এর গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনাঃ

ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- আগরতলা – দিল্লি- জয়পুর- পুশকার – আজমের – দিল্লি – আগরতলা – ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ঢাকা

আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আগরতলা দিয়ে ভারত যাতায়াত আমার জন্য অনেক সহজতর। সদর থেকে বডারে গিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করতে সাধারণত ১ থেকে দেড় ঘন্টা লাগে। ভারতের ট্যুরে আমরা ৫ জন যায়। ঢাকা থেকে কেউ যদি সরাসরি আগরতলা ব্যাবহার করতে চায় তাও কিন্তু পারবে। কারণ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে ট্রেনে ২ ঘন্টার ও কম সময় লাগে৷

সকাল ১১ টায় হেলেদুলে বাসা থেকে বেড় হই। ইমিগ্রেশন শেষ করে আগরতলা চেকপোস্ট পার হয়ে যাই। আমাদের ফ্লাইট ইন্ডিগো সময় ৩.৩০ মিনিট। সময়ের অনেক আগেই আমাদের চেকপোস্টের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে যায়।

আমি ডলার এবং বাংলা টাকা দুটাই নিয়ে নিয়েছিলাম। ডলার কিছু রুপি করেছি অবশ্যই চেকপোস্ট এর বাহিরেও একবার যাচাই করে নিবেন কত রেট দিচ্ছে। আমি যাচাই করে দেখেছি চেকপোস্ট এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে করালে আমি ৩০০ রুপি বেশি পাচ্ছি তখন সেখানেই করাই।

পুনরায় ভিতরে যেতে নিলে প্রশ্ন করে কেন আবার ভিতরে যাচ্ছি সুন্দর করে বলে দিলে আর কিছুই বলে না! ফ্লাইট আগরতলা থেকে নিলে টাকা অনেক কম পরে ঢাকা টু দিল্লি যাবার থেকে। আমরা তাই ডোমেস্টিক ফ্লাইট নেই, যত আগে নিবেন টিকেট তত টাকা কম।

ভারত ভ্রমণ - কম খরচে ভারত ভ্রমণ - India tour
ভারত ভ্রমণকালে দিল্লিতে যেখানে যেখানে ঘুরবেনঃ

প্রথম দিন ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় আমরা দিল্লি পৌছে যাই। হোটেল আগেই বাংলাদেশ থেকে অনলাইন App’s এর মাধ্যমে বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। হোটেলের নাম ছিলো Hotel Centra Inn পাহারগঞ্জ ডাবলবেড ৫ জন থাকা যাবে। ১৮০০ রুপি মাত্র। রাতে খাবারের জন্য বের হই হোটেলের একটু দূরেই একটা রেস্তোরাঁতে খেতে বসি। খাওয়া দাওয়ায় ছিলো ছোলা ভাটুরা, লুচি, দই, চিড়াভাজা আর লাচ্চি। খাবার দাবার শেষ করে রেস্তোরাঁর মালিকের সাথে আলাপ আলোচনা করি কিভাবে ঘুরবো দিল্লি শহর।

কোনটা কিভাবে গেলে সুবিধা হবে। হোটেলে গুলায় আপনাদের তাদের ক্যাব বা এজেন্সির সাথে বাসে করে ঘুরতে বলবে যা কখনোই করা ঠিক না। এতে শান্তিতে নিজের মত ঘুরা যায় না। আমার দিল্লির পরিচিত একজন ফ্রেন্ড ছিলো সে আমাকে অনেক গাইড করেছিলো কিভাবে গেলে আমার সুবিধা হয়।

ভারত ভ্রমণের অন্যতম যায়গা রাষ্ট্রপতি ভবনঃ

১৮ অগাস্ট সকাল বেলা নাস্তা করেই প্রথমেই আমরা চলে যাই দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন দেখার জন্য। উবার ক্যাব দিয়ে চলা সব থেকে আরাম যদি সংখ্যায় ৪-৬ জনের মত হয়। রাষ্ট্রপতি ভবন ভারতের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন যা রাজধানী নতুন দিল্লিতে অবস্থিত।

ভারত-ভ্রমণ-India-tour - president house

ব্রিটিশ শাসনকালে এই প্রাসাদটি “ভাইসরয়’স হাউস” নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫০ সালে প্রাসাদটি রাষ্ট্রপতি ভবন নামে পরিচিতি লাভ করে। বিশালাকৃতির প্রাসাদটি বাহির থেকেই আমরা দেখতে পারবো মাত্র।

ভারতের লাল কেল্লাতে ঘুরাঘুরিঃ

তারপর আমরা চলে যাই Red Fort লাল কেল্লা যা পুরানা দিল্লিতে মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই দুর্গটি ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। দূর্গে যেতে বিদেশিদের জন্য ৯০০ রুপি আর ইন্ডিয়ানদের জন্য ৮০ রুপি।

যেহেতু খান আর কাপুর দের হিন্দি সিনেমা সিরিজ দেখে দেখে আমার হিন্দি যথেষ্ট ভালো কেউ না বলবে বুঝবে না আমি ইন্ডিয়ান নই তাই আমি ইন্ডিয়ান লাইনে দাড়িয়ে টিকেট কেটে নেই। লাল কেল্লার অভ্যন্তরীণ স্থাপনাসমূহ হচ্ছে দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই- খাস, নহর-ই-বেহিস্ত, জেনানা, মতি মসজিদ, হায়াত বক্স বাগ।

একটি জরুরি কথা ভারত ভ্রমণ করার সময় ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে যাবার আগে অবশ্যই ইতিহাস পরে নিবেন। না হয় স্থাপত্য দেখে আপনি কোন আনন্দ পাবেন না বরং শুধুই একে আপনার শূন্য মস্তিষ্কে ইট বালি সিমেন্ট এর আস্তানা মনে হবে।

ভারত-ভ্রমণ-India-tour-how-to-visit-india

লালকেল্লা পুরনো দিল্লির সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে লস্কর-ই-তৈবা নামক জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণ হয়। ২০০৭ সালে লালকেল্লা ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।

মসজিদ-ই জাহান-নুমা ও জামা মসজিদঃ

দিল্লিতে অবস্থিত ভারতের অন্যতম বৃহত্তম একটি মসজিদ। সাধারনভাবে এই মসজিদটি জামে মসজিদ নামে পরিচিত মুঘল সম্রাট শাহজাহান কতৃক তৈরি যার অর্থ ‘জগতের প্রতিবিম্ব মসজিদ’।

ইন্ডিয়া গেটঃ

রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবার পথে দিনের বেলা ইন্ডিয়া গেট একবার দেখেছিলাম কিন্তু রাতের বেলা ইন্ডিয়া গেট জমজমাট হয়ে উঠে। তাই রাতের বেলায় আমরা আবারো যাই। ইন্ডিয়া গেট ভারতের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি নতুন দিল্লিতে অবস্থিত। প্যারিসের আর্ক দে ত্রিম্ফের আদলে ১৯৩১ সালে নির্মিত এই সৌধটির নকশা করেন স্যার এডউইন লুটিয়েনস।

আগে এর নাম ছিল “অল ইন্ডিয়া ওয়ার মনুমেন্ট“। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে নিহত ৯০,০০০ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের স্মৃতিরক্ষার্থে এই স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। এটি লাল ও সাদা বেলেপাথর ও গ্র্যানাইট পাথরে তৈরি অসাধারণ একটি স্মৃতিসৌধ।

ভ্রমণ ইন্ডিয়া গেট india gate

এবার আসি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, শুনেছি দিল্লির লাড্ডু যো খায়া ও ভি পাস্তায়া যো নেহি খায়া ও ভি পাস্তায়া। আমরা মিস্টির দোকানে যাই লাড্ডু সহ অন্যান্য যত মিস্টি ছিলো একটা করে কিনি প্রায় সব গুলাই আমরা টেস্ট করি। লাড্ডুর স্বাদ আহামরি কিছু না কিন্তু আমাদের দেশের লাড্ডুর মতই।

তারপর পুরানা দিল্লির বিরিয়ানির জন্য আশেপাশে জিগাসা করে খেয়ে নেই বিরিয়ানি। যত যাই বলি আমার পুরান ঢাকার বিরিয়ানির স্বাদ লা-জাবাব। হোটেলে ফিরে আসি পরের দিন সকালে আমরা আগ্রা যাবো, হোটেলের বাস যায় ট্রুরিস্ট দের নিয়ে।

১২০০ রুপি নেয় যাওয়া আবার দিল্লিতে সে রাতেই ফিরে আসা। আমরা দিল্লি থেকে আগ্রা যাবো ঠিকই কিন্তু ফিরে আসবো না সেখান থেকেই জয়পুর চলে যাবো। এতে আমাদের এক দিনের হোটেল ভাড়া ও বেচে যাবে আর জয়পুর যাবার রাস্তা ও কমে যাবে।

তাই আমি ভাড়া ফুরিয়ে নেই ৬০০ রুপি আর আমাদের ব্যাগ গুলি বাসেই থাকবে ঘুরা শেষ হলে যাবার পথে আমরা ব্যাগ নিয়ে নেমে যাবো। যে কথা সেই কাজ পরের দিন ১৯ অগাস্ট আমরা সকালে চলে যাই আগ্রা।

ভারত ভ্রমণ করার সময় আগ্রায় যেখানে যেখানে ঘুরবেনঃ

দিল্লি থেকে আগ্রা যেতে সময় লাগে ৪-৫ ঘন্টা বাসে। ট্রেনেও যাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের সাথে ব্যাগ থাকবে তাই ব্যাগ রাখা নিয়ে ঝামেলা এড়ানোর জন্য! বাসে যাই আর বাসেই যখন আমরা ব্যাগ রেখে ঘুরতে পারছি কেন হোটেল নিবো। আগ্রা নেমে একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে নেই।

আগ্ৰা দুর্গ – Agra Fort

রাঙা বেলে পাথরের তৈরি মোগল স্থাপত্যের অন্যতম নিদৰ্শন যা আগ্ৰা কেল্লা থেকে তাজমহল মাত্ৰ ২.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দূর্গ থেকে তাজমহল দেখা যায় যা ১৯৮২ সালে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এর অন্তৰ্ভুক্ত হয়।

Agra fort আগ্ৰা দুর্গ ভারত 1

এই দূর্গ গুলি ইতিহাস না জানলে আমাদের মনে কোন রোমাঞ্চ সৃষ্টি করবে না তাই ইতিহাস জানা খুব জরুরি। ভাবতেই ভালো লাগে আমি সেখানে দাড়িয়ে যেখানে এক সময় মুঘলরা বিচরণ করতো কত ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী উত্তর প্রদেশের যমুনা নদীর তীরের এই দূর্গ।

ভারত ভ্রমণে অন্যতম প্রেমের তাজমহলঃ

যেখানে পূর্ববর্তী মুঘল ইমারতসমূহ তৈরি হয়েছিল লাল বেলে পাথরে, সেখানে শাহজাহান চালু করেছিলেন সাদা দামি মার্বেল। তাজমহল বিশ্বের অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ ও মনোমুগ্ধকর নিদর্শন।

ভালোবাসার অবিশ্বাস্য স্মরণীয় ভাস্কর্য যা শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক। তাজমহলের সাদা মার্বেল ছুয়ে দেখবেন, ভিতরটা বাহিরে থেকে অনেক ঠান্ডা। আমার হাতে অফুরন্ত সময় থাকলে আমি সাড়া দিন সেখানেই বসে থাকতাম।

আগ্রা ভ্রমণ শেষ করে আমরা জয়পুর যাবার উদ্দেশ্য বিকালে টিকেট কাটি ৬০০ রুপি করে জনপ্রতি । বাস সন্ধ্যা ৭ টায় ছাড়ার কথা। আমরা স্থানীয় একটা ব্যাংকের কাছে বসে বানরের কেরামতি দেখতে দেখতে বাস ছাড়ার সময় ঘনিয়ে আসে। আমার জীবিনের শ্রেষ্ঠ বাস যাত্রা।

Tajmahal Agra প্রেমের তাজমহল ভারত ভ্রমণ

আমি স্লিপার বাসে কখনোই যাত্রা করি নাই। বাসের অবস্থা ছিলো একদমই লোকাল বাস। আমার সাথের সঙ্গিদের বাস টি পছন্দ হয় নাই। আসলে সাড়াদিন দখলের পর রাতে যাত্রা করলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই একটু আরাম চায়। আমি হলাম যেখানে রাত সেখানে কাত প্রিয় মানুষ। আর আগ্রা থেকে জয়পুর এর থেকে ভালো বাস সে সময় ছিলো না।

রাত ২.৩০ এ আমরা জয়পুর পৌছে যাই। বাসে বসে আমরা একটা হোটেল বুকিং দিয়েছিলাম যার মূল্য ছিলো ১৫০০ রুপি কিন্তু নামার পর ট্যাক্সি স্যান্ডে অটোওয়ালা আমাদের কে আরেকটি হোটেলের কথা বলে। আমি প্রথমেই বলি নাই আমরা বাংলাদেশী, বলেছি দিল্লি থেকে আসলাম কত করে দিতে পারবে স্টুডেন্ট মানুষ টাকা পয়সা বেশি নাই।

কম বাজেটে ঘুরতে আসছি। তার আর কথা বলার জায়গা ছিলো না সে ১২০০ রুপি বলে আমি ১০০০ রুপি দিতে পারবো বলে ডাবল বেডের হোটেলে নিয়ে যেতে বলি।

হোটেল টার নাম Sanjary Palace ভালো হোটেল মুটামুটি সব সুযোগ সুবিধাই ছিলো। হোটেলে (২০ অগাস্ট) সকালে কথা বলে নেই কিভাবে ঘুরবো এখানেও বাস আছে, বাসে করে ঘুরাবে ৬০০ রুপি করে। আমরা বাস না নিয়ে নিজেরা একটা গাড়ি ঠিক করে নেই যে আমাদের কে ঘুরাবে।

গাড়ির ড্রাইভারের নাম ইমরান যে কাছাকাছি আমাদের বয়সেরই ছিলো এবং যথেষ্ট ভালো একটি ছেলে যার সাথে আমার এখনো যোগাযোগ রয়েছে। সে আমাদের খুব ভালো ভাবে জয়পুর শহর ঘুরালো।

Albert Hall Museum আলব্রাট হল মিউজিয়ামে, হাওয়া মহল, জল মহল দেখে আমরা চলে যাই আম্বার ফোর্ট।

আমির ফোর্ট যা জয়পুরের রাজধানী রাজস্থানে অবস্থিত রাজা মান সিং কতৃক নির্মান করা হয়েছে। এই দূর্গ টি অনেকটা হিন্দিতে ভুলভুলাইয়ার মত। রাস্তা না চিনলে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। শীশমহল এই দূর্গের অন্যতম আকর্ষন। মীনার করা কাজ আর স্থাপনার নিপুন কলাকৌশল মন কে মোহিত করে দেয়। জয়পুর আমরা ২ দিন অবস্থান করি

পুশকার সাফারি পার্কঃ

২১ অগাস্ট আমরা পুশকার সাফারি পার্ক যা রাজস্থানের একটি মরুভূমির একাংশ সেখানে আমরা উটের গাড়ি করে ঘুরে বেড়াই, তাদের স্থানীয় ড্রেস ঘন্টাপ্রতি ভাড়া পাওয়া যায় ৮০ রুপি করে তা পরে ছবি তুলি, স্থানীয়রা রাজস্থানি গান গেয়ে শুনায়।

ভ্রমণ India tour traditional dress of india ভারত ভ্রমন

পানির বোতল নিয়ে নিবেন কারন পানির প্রচুর পিপাসা লাগবে। সেখান থেকে শেষ করে আমরা ঢাবা তে খাওয়া দাওয়া করে চলে যাই আজমের শরীফ দরগা জিয়ারত করার জন্য।

আজমীর শরীফ দরগাহঃ

হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র:) এর দরগাহ যা খাজা বাবার মাজার নামেও পরিচিত। এটি ভারতের রাজস্থানের Ana Sagar Lake তীরে অবস্থিত সকল ধর্মের মানুষের তীর্থস্থান বলে পরিচিত।

সেখানে বাংলাদেশ যশোর থেকে পাঠানো একটি দরজা আছে যা জান্নাতের দরজা নামে পরিচিত।

আমরা আজমের শরীফ জিয়ারত করে জয়পুর ফিরে আসি এবং রাতে বাসে করে পরের দিন ২২ তারিখ সকালে দিল্লি তে ভোরের দিকে পৌছে যাই। সকালে অন্য একটি হোটেলে উঠি নাস্তা খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে ১২ টার দিকেই বের হয়ে যাই চাঁদনীচক মার্কেটে৷ আজকে আমরা আর ঘুরবো না শুধু কেনাকাটা করবো।

প্রচুর দালাল থাকে তাদের ডাকে ভিতরে যাবেন না। নিজে নিজে দোকানের ভিতরে যাবেন। দালাল নিয়ে গেলেই জিনিসের দাম বেশি রাখবে আপনার কাছ থেকে। সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টায় সব বন্ধ হয়ে যায় তার আগেই কেনাকাটা শেষ করে ফেলুন।

কেনাকাটা শেষ করে আমরা হোটেলে ফিরে আসি সব কিছু গুছিয়ে নেই। ২৩ তারিখ সকালে আমাদের ফ্লাইট। দিল্লি থেকে আগরতলা চলে আসি দুপুর ২ টার মাঝে এয়ারপোর্টে থেকে বের হয়েই চেকপোস্ট এ চলে যাই

ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশ চেকপোস্টে এসেই দেখি আম্মু পাপা আমাদের কে নিতে আসছে। আম্মু কে দেখে প্রথম কথা এটাই বলি বাসায় চলো ”ভাত খাবো”। ভারত ভ্রমণের এই স্মৃতি চীরসবুজ হয়ে থাকবে।

দেশ বিদেশে ভ্রমণের আরও অনেক টিপস ও লেখা পেতে বাংলানিউজ ইনফোর ভ্রমণ অপশনে ঘুরে আসুন।