গতানুগতিক চিন্তা-ভাবনার বাইরেও নিজের আলাদা একটা পরিচয় ও স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আজ উদ্যোগকে বেছে নিচ্ছে আমাদের শিক্ষিত সমাজ।
বাংলানিউজ ইনফো
আজ সাক্ষাৎকার নিয়েছে এমনই একজন উদ্যোক্তার। যশোরের মেয়ে ফামিমা আফরিন নৌশী, যার বয়স মাত্র ১৯ বছর। তিনি যশোর সরকারি মহিলা কলেজের “ব্যাবসায় শিক্ষা” বিভাগ থেকে এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছেন। চলুন নৌশীর কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক জীবনের না বলা সব গল্প এবং উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প।
আমি নৌশী, ১৯ বছরের একজন উদ্যোক্তা। এবার ইন্টারমিডয়েট পাশ করলাম। সরকারি মহিলা কলেজ, যশোর থেকে। আমার ছোট থেকেই বিজনেস ভালো লাগে কিন্তু আব্বু পছন্দ করেনা তাই করা হয়নি। এবার সাহস করে শুরু করেই ফেললাম।
উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছাটা বা চিন্তাটা আসে লকডাউন এ ( সেপ্টেম্বর ১০ তারিখ)। পড়ালেখা বন্ধ ভাবলাম সময় টা কাজে লাগায় আর আমার ইচ্ছা ছিল যশোর এর সবাই আমাকে চিনবে আমার এই কাজ/পেশা দিয়ে আর আরো অনেকে হোম মেইড বিজনেস করতো সেইটা দেখে ভাবলাম প্রতিভা কাজে লাগায়। হাত খরচ টাও তো উঠে যাবে। ভাবতে ভাবতে একদিন দেখলাম একটা আপু কেক খুঁজতেছে উনাকে এস এম এস দিলাম তারপর এই থেকেই শুরু। আমার ফেসবুক পেইজ এর নাম “Yummy food corner“।
আমি ব্যবসা করছি হোম মেইড ফুড নিয়ে । আমি হোম ভেলিভারি দিই পুরো যশোরে। আল্লাহর রহমতে নাভারন, নোয়াপাড়া, শার্শা তেও কেক ভেলিভারি দিয়েছি অনেক কাস্টমার বাসায় এসে নিয়ে যায়। শুরু করেছিলাম অক্টোবর ৫, ২০২০ থেকে। সব অডার অনলাইনেই আসে। আমার মেইন আইটেম কেক। আমি কেক ছাড়া আরও কিছু ফাস্টফুড আইটেম নিয়ে বিজনেস করি যেমন: পিজ্জা , রোল , বান , চিকেন বান ইত্যাদি।
আমার বয়স ১৯ এইটা সবার পড়ালেখা করার সময়। আর সব বাবা-মা চান ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করুক আরো সামনে ভার্সিটির পরীক্ষা। সত্যি বলতে আব্বু বকা দিত রাজী ছিল না কিন্তু আম্মু সবসময় সাহায্য করেছে। এখন আব্বু যখন দেখছে সবাই সুনাম করে ভালো বলে আব্বু আর কিছু বলে না এখন। আম্মু সবসময় পাশে ছিল আছে।
আমি এই বিজনেস বন্ধ করতে চাইনা । আমি চাই এই হোম মেইড ফুড বিজনেস দিয়ে সবাই আমাকে চিনবে। খুব ভালো লাগে যখন কেও এস এম এস দেয় অপরিচিত আর বলে খুব সুনাম আর রিভিউ দেখে নক দিলাম। এইযে ভরসা সুনাম পেয়েছি ধরে রাখতে চায়।
যারা নতুন উদ্যেক্তা হতে চান তাদেরকে বলবো, কোন কাজ ছোট না। ভয় পাবার কিছু নেই। করবো কি করবো না এইটা ভেবে সময় নষ্ট না করে শুরু করে দেন দেখবেন যারা পাশে নেয় সময় হলে ভালো করছেন দেখলে তারা পাশে থাকবে। পড়ালেখা করতে হবে শুধু এমন কিছু না প্রতিভা কাজে লাগান। বাইরের দেশগুলোতে সবাই পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করে নিশ্চয়ই কারন আছে। তারা আত্মমর্যাদাশীল হতে চায়। তাই সময় টা কাজে লাগান।
বাংলানিউজ ইনফো পত্রিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের গল্প সবার সামনে তুলে ধরার জন্য।
বিশেষ ঘোষণাঃ আপনার লেখা ছোটগল্প, জীবনের না বলা গল্প অথবা উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প শেয়ার করুন সবার সাথে। যোগাযোগ করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেঃ https://www.facebook.com/banglanewsinfo.official