ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে শেষরাতে ছাত্রলীগকর্মীদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, লালন শাহ হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষের দুটি সিট নিয়ে সূত্রপাত ঘটে মারামারির। ওই কক্ষের দু‘জন শিক্ষার্থীর বৈধ সিট থাকলেও বেশির ভাগ সময় ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করেন তারা। এ সুযোগে ওই সিটে দু‘জন শিক্ষার্থীকে রাখেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী শাকিল।
এদিকে শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই সিটে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দিতে আসেন ছাত্রলীগনেতা মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় দু‘জনের মধ্যে সিট নিয়ে প্রায় দু‘ঘণ্টা বাগ-বিতণ্ডা হয়।
পরে রাত ৩টার দিকে হলের করিডোরে দেখা হয় মোস্তাফিজ ও শাকিলের। এ সময় তাদের মধ্যে আবারো বাগ-বিতণ্ডা হয়। মোস্তাফিজ এক পর্যায়ে শাকিলকে মারধর করেন।
শাকিলের অভিযোগ ছাত্রলীগকর্মী ইসতিয়াক শাওন, মিরাজ, রাসেল, রাফিসহ জুনিয়র কর্মীও এ সময় তার সাথে ছিলেন। তারা মারতে সহযোগিতা করেন। পরে শাকিলের বন্ধুরা রড ও লাটিসোঠা নিয়ে মোস্তাফিজকে মারতে এলে লুকিয়ে পড়েন তিনি।
মোস্তাফিজকে মারার জন্য সকাল ৫টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি ও হট্টগোল করেন শাকিলের বন্ধুরা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। পরে ছাত্রলীগনেতা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রোববার দুপুরে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটিয়ে দেয় হল প্রশাসন।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই রুমে অন্য হলের বন্ধুদের নিয়ে মাদকের আসর বসায় শাকিল। এ নিয়ে হলের অনেকেই আমাকে অভিযোগ করেন। এজন্য আমি ওই রুমে নতুন একজনকে উঠাতে চেয়েছিলাম। এ সময় শাকিল আমাকে বাধা দিলে বাগ-বিতণ্ডা হয় এবং পরে তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার পর রোববার আমরা দুই পক্ষের সাথে বসে মিটমাট করে দিয়েছি। এছাড়া মাদকের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো আমরা নোটডাউন করেছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব।